সোহাগ হত্যার বিচার, চাঁদাবাজি বন্ধসহ ৫ দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৫, ২৩:৪৬

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পিটিয়ে ও মাথা থেঁতলে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সোহাগ হত্যার বিচার ও সারাদেশে চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ ৫ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মিছিলটি বুয়েট থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে মিছিলটি সমাপ্ত হয়। এসময় তারা সরকার ও প্রশাসনের কাছে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানায়।
৫ দফা দাবিসমূহ হলো:
১. সোহাগ হত্যার ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
২. অভিযুক্ত মহিন এবং রবিনসহ সকল খুনিকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. সমগ্র বাংলাদেশে চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. রাজনৈতিক পরিচয়ের অপব্যবহার করে অপরাধীদের রক্ষা করার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।
৫. ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে মো. সোহাগ নামের একজন ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে, উলঙ্গ করে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত, ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক প্রশ্রয়, বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় একের পর এক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। সোহাগ হত্যার ঘটনাও তার ভয়াবহ উদাহরণ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, শুধুমাত্র চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় একজন মানুষকে এমন পাশবিকভাবে হত্যা করা-এটি আমাদের সমাজের চরম মানবিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের চিত্র তুলে ধরে। অভিযুক্ত মহিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক কর্মী এবং থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। অথচ তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বরং রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তার বিচারহীনতা নিশ্চিত হয়েছে-যার পরিণতিতে ঘটেছে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড।