প্রাথমিক ছাপা হয় নীলক্ষেতে, গোপনে আরও ৫ ধাপে চূড়ান্ত করা হয় ডাকসুর ব্যালট
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৫৬

চূড়ান্ত নয়, নীলক্ষেত থেকে প্রাথমিক ছাপা শেষে আরও গোপন পাঁচ ধাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ব্যালট ব্যবহার উপযোগী করা হয় বলে জানিয়েছেন সরবরাহকারী ফেরদৌস ওয়াহিদ।
তিনি দ্যা ঢাকা ডায়েরিকে বলেন, ‘প্রথমে ছাপানো হয়—এটাই প্রাথমিক ধাপ। এরপর সেই ব্যালটগুলো কাটিং করা হয়। তারপর আমরা সেগুলো অফিসে নিয়ে যাই। অফিসে নিয়ে প্রি-স্ক্যান করা হয়। স্ক্যান করার সময় আমরা উপরের দেওয়া কোড অনুযায়ী যাচাই করি ব্যালট ঠিক আছে কি না। সব ঠিক থাকলে পরে তা প্যাকেটিংয়ে পাঠানো হয়।’
ফেরদৌস ওয়াহিদ দাবি করেছেন, নিউ মার্কেটের জালাল প্রেসে যেসব ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে, সেগুলো কোনোভাবেই চূড়ান্ত ব্যালট নয়, বরং শুধুমাত্র প্রাথমিক প্রিন্টিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জালাল প্রেস যেগুলো ছাপিয়েছে, সেগুলো মেশিনে রিড করবে না। এগুলো শুধু ব্যালট সদৃশ কাগজ। আমাদের অফিসে এনে কয়েক ধাপ প্রক্রিয়ার পর প্রি-স্ক্যান করে চূড়ান্তভাবে ব্যবহারযোগ্য করা হয়েছে।’
ফেরদৌস ওয়াহিদ আরও জানান, প্রি-স্ক্যান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই ব্যালটগুলো প্যাকেট করা হয়। পুরো কাজের দায়িত্ব ছিল আনজা কর্পোরেশনের ওপর।
এই বিষয়ে ফেরদৌস ওয়াহিদের বক্তব্য, ‘জালাল প্রেসে ৯৬ হাজার ব্যালট ছাপানো হয়েছে—এটা সঠিক নয়। আমাদের প্রয়োজন ছিল প্রায় ৮৬ হাজার ব্যালট। সে জন্য ২২ রিম কাগজে প্রিন্ট দিয়েছিলাম, যেটা সাধারণত ৮৮ হাজার হয়। তবে নষ্ট কাগজ বাদ দিলে প্রকৃত সংখ্যা কমে যায়।’