র‌্যাবের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসী ছিনিয়ে নিলো সহযোগীরা

প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫০

Thumbnail
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কুখ্যাত সন্ত্রাসী সাহেব আলীকে আটকের পর হামলার শিকার হয়েছেন র‌্যাব সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আটি ওয়াপদা কলোনি বউবাজার এলাকায় সাহেব আলীর সহযোগীরা র‌্যাবের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এসময় র‌্যাবের তিন সদস্যসহ চারজন আহত হন। আহত র‌্যাব সদস্যদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে– তুহিন ও ফাহিম। অপরজন স্থানীয় ব্যক্তি। তার নাম রানা।

র‌্যাব ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে গিয়ে সাদা পোশাকে র‌্যাব-১১ এর একটি দল সাহেব আলী (৩৮) ও তার এক সহযোগীকে আটক করে। সাহেব আলী ওয়াপদা কলোনি বউবাজার এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ ডজনখানেক মামলা রয়েছে।

সূত্র জানায়, সাহেব আলী ও তার সহযোগীকে আটক করার পর দুই র‌্যাব সদস্য তাদের পাহারায় বউবাজার তিন রাস্তার মোড়ে শীতল নামের এক ব্যক্তির চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। দলের অন্য সদস্যরা তখন এলাকায় আরও কয়েকজন সহযোগীকে আটক করতে যায়। সেই সময় সাহেব আলীর সহযোগীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, ৮-১০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে র‌্যাব সদস্যদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দোকানের চেয়ার ছুড়ে মারাসহ ইট-পাটকেলের আঘাতে র‌্যাবের অন্তত তিনজন সদস্য এবং স্থানীয় রানা নামের এক ব্যক্তি আহত হন। তাদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা ফয়েজ আহমেদ বলেন, আমি এসে দেখি দুজন র‌্যাব সদস্য শীতলের চায়ের দোকানে সাহেব আলীকে বসিয়ে রেখেছে। হঠাৎ করে ৮-১০ জন যুবক দৌড়ে এসে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি অস্থির হয়ে ওঠে এবং তারা সাহেব আলীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী আলাউদ্দিন বলেন, আমি দেখি একজন র‌্যাব সদস্য রক্তাক্ত অবস্থায় বিসমিল্লাহ ফার্মেসিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিসমিল্লাহ ফার্মেসির কর্মচারী শাহাদাত হোসেন বলেন, চারজন লোক দোকানে চিকিৎসার জন্য আসেন। একজনের মাথায় এবং দুজনের হাতে আঘাত ছিল। আমরা প্রাথমিকভাবে রক্তপাত বন্ধ করি। পরে র‌্যাবের অন্য সদস্যরা এসে তাদের নিয়ে যান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব-১১ এর সিপিএসসি (ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশালাইজড কোম্পানি) কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. নাঈম উল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের গোয়েন্দা দল সাহেব আলীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযানে যায়। এসময় একদল সন্ত্রাসী আমাদের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।

তবে সাহেব আলীকে ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে সাহেব আলী ও তার সহযোগীদের ধরতে র‌্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এইচটি।