
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদের মরদেহ ভেসে উঠেছে কক্সবাজার সমিতিপাড়ার সমুদ্র সৈকতে। কে এম সাদমান রহমান সাবাবের মৃত্যুর ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় পর মিললো আসিফের লাশ।
বুধবার (৯ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চবির সহকারী প্রক্টর ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী।
জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সমিতিপাড়াস্থ সৈকতে পাশ থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদের বড় ভাই সেখানে এসে লাশটি শনাক্ত করেন। নিখোঁজ শিক্ষার্থীর ভাই নিশ্চিত করেছেন এটি আসিফ আহমেদেরই মরদেহ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সাঈদ বিন কামাল চৌধুরী বলেন, গতকাল সাবাবের মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে। আজ সকালে আসিফের মরদেহ ভেসে এসেছে। কিন্তু এখনো অরিত্র হাসানের কোনো খোঁজ মেলেনি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিম অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
এরআগে, গতকাল (মঙ্গলবার) কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ৪ শিক্ষার্থী। বিভাগের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষ ঘুরতে গিয়ে সকালে হিমছড়ি জাদুঘর এলাকার বীচে দুর্ঘটনার শিকার হয় ৩ শিক্ষার্থী। তারা হলেন-কে. এম. সাদমান রহমান সাবাব, অরিত্র হাসান ও আসিফ আহমেদ। এরমধ্যে গতকাল সাবাবের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ ছিলেন বাকি দু'জন। আজ সকালে আসিফের মরদেহ ভেসে উঠে। তবে, এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অরিত্র হাসান।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, সাবাবের মরদেহ গতকাল পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। তার বাড়ি ঢাকার মিরপুরে। আসিফ এবং অরিত্র দুজনেই বগুড়ায় সন্তান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, তারা তিনজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মো. ফরহাদ হোসেন হলে থাকতেন। সোমবার রাতে হিমছড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে রাতে সেখানে অবস্থান করেন। পরে গতকাল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাঁরা বীচে নামেন।