চূড়ান্ত নয়, নীলক্ষেতে কেবল প্রাথমিক প্রিন্টিং হয়েছে
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:০৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপার নীলক্ষেতের একটি অরক্ষিত ছাপাখানায় ছাপানো হয়েছে—এমন অভিযোগ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে চলমান আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এ বিতর্কের মধ্যে দ্যা ঢাকা ডায়েরিকে নতুন তথ্য দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ট্রেন্ডার পাওয়া প্রতিষ্ঠান ‘আনজা কর্পোরেশন’-এর পক্ষ থেকে কাজ পাওয়া সাপ্লায়ার ফেরদৌস ওয়াহিদ।
ফেরদৌস ওয়াহিদ দাবি করেছেন, নিউ মার্কেটের জালাল প্রেসে যেসব ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে, সেগুলো কোনোভাবেই চূড়ান্ত ব্যালট নয়, বরং শুধুমাত্র প্রাথমিক প্রিন্টিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জালাল প্রেস যেগুলো ছাপিয়েছে, সেগুলো মেশিনে রিড করবে না। এগুলো শুধু ব্যালট সদৃশ কাগজ। আমাদের অফিসে এনে কয়েক ধাপ প্রক্রিয়ার পর প্রি-স্ক্যান করে চূড়ান্তভাবে ব্যবহারযোগ্য করা হয়েছে।’
ফেরদৌস ওয়াহিদ আরও জানান, প্রি-স্ক্যান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই ব্যালটগুলো প্যাকেট করা হয়। পুরো কাজের দায়িত্ব ছিল আনজা কর্পোরেশনের ওপর।
এই বিষয়ে ফেরদৌস ওয়াহিদের বক্তব্য, ‘জালাল প্রেসে ৯৬ হাজার ব্যালট ছাপানো হয়েছে—এটা সঠিক নয়। আমাদের প্রয়োজন ছিল প্রায় ৮৬ হাজার ব্যালট। সে জন্য ২২ রিম কাগজে প্রিন্ট দিয়েছিলাম, যেটা সাধারণত ৮৮ হাজার হয়। তবে নষ্ট কাগজ বাদ দিলে প্রকৃত সংখ্যা কমে যায়।’