১৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বাজেট বাড়লো হাবিপ্রবির, বরাদ্দ কম স্বাস্থ্যখাতে
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৫:১৫

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) মোট ১৩১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বাজেট পেয়েছে, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় ১৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বেশি। গত অর্থবছরে মোট বাজেট ছিল ১১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। নতুন অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সহায়তার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৬ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ০.০৪৫ শতাংশ। প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যসেবার জন্য এই বাজেটকে অপ্রতুল বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাবিপ্রবির জন্য মোট ১৩১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বাজেটের মধ্যে ১২২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা দেবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে আসবে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এই বাজেটে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৩.২৮ শতাংশ। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই বরাদ্দকেও ‘অপ্রতুল’ বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা।
হাবিপ্রবিতে বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। অথচ তাদের জন্য বাৎসরিক স্বাস্থ্যসেবায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৬ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ০.০৪৫ শতাংশ। যদিও গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৫ লাখ টাকা, চলতি বছরে তা ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে ৬ লাখ করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের মতে, এই সামান্য বৃদ্ধি প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারকে উপেক্ষা করে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করে এবং কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারপরও স্বাস্থ্যখাতে এতো কম বরাদ্দে মেডিকেল সেন্টারটির সংস্কার আদৌ সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
দীর্ঘদিন ধরে একটি অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় বর্তমানে মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েই মেডিকেল সেন্টারের রোগী পরিবহন করা হচ্ছে। এছাড়াও, মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত ওষুধ না থাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ না থাকার অভিযোগও করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বাজেটের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, “আমরা বাজেট যেমন চাই, তেমনটা আসলে পাই না। এ বছর আমরা প্রায় ১৬৯ কোটি টাকার বাজেট চেয়েছিলাম। এর প্রেক্ষিতে ইউজিসি থেকে পেয়েছি ১২২ কোটি টাকা। তবে আমরা আশাবাদী, সামনে সংশোধিত বাজেটে এটি আরও বাড়বে। বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে ইউজিসির নির্দেশনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বিবেচনায় নেওয়া হয়।”