বিএনপি চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, দলীয় দ্বন্দ্বে খুন হওয়াকে স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত করেছে: ফরহাদ

প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২৫, ১৯:৫৪

Thumbnail
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেছেন, বিএনপি এই দেশে এমন এক ভয়াবহ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস কিংবা দলীয় দ্বন্দ্বে মানুষ খুন হওয়া এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। 

শুক্রবার (১১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে ‘‘আবারও কোনো এক 'ছত্রিশে জুলাই' হয়তো এই দেশটাকে বাঁচাতে আসবে!’’ শিরোনামে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। 

এস এম ফরহাদ তার পোস্টে লিখেছেন, গতকাল যুগান্তর-এর এক প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুবদল নেতার সংশ্লিষ্টতার তথ্য উঠে আসার পর অনলাইনে কিছুটা ভিন্ন প্রেক্ষাপট ও মৃদু আলাপ শুরু হয়। আর আজকের দেশব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়ার মূল কারণ—ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া। ভিডিওটি না এলে, হয়তো এটিও অন্যান্য ‘স্বাভাবিক’ খুনের মতো মানুষের স্মৃতি থেকে হারিয়ে যেত।

'যুবদল নেতার নেতৃত্বে' সংঘটিত এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি প্রায় সব গণমাধ্যম ৯ জুলাই যেভাবে শিরোনাম করেছে, তাতে এটিকে ‘আধিপত্য বিস্তারের জের’ ধরে সংঘটিত একটি সাধারণ খুন বলেই উপস্থাপন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও লিখেছেন, বাস্তবতা হলো—বিএনপি এই দেশে এমন এক ভয়াবহ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস কিংবা দলীয় দ্বন্দ্বে মানুষ খুন হওয়া এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই স্বাভাবিকতাকে মেনে নেওয়াই আমাদের সামষ্টিক পরাজয়ের প্রতিচ্ছবি।

ফরহাদ লিখেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর শহীদ জসিমের ওপর বর্বর হামলা ও লাশের উপর নৃত্য করা কিংবা জনসম্মুখে সন্ত্রাসী আক্রমণে বিশ্বজিৎকে খুন করার বিভৎস দৃশ্য এখনো চোখে ভাসে। রাজনৈতিক সহিংসতার এ সংস্কৃতি একসময় শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ, এখন বিএনপি সেটাকেই আরও নিষ্ঠুরভাবে বহন করছে।

যে জাতির বড় বড় দলগুলো চাঁদা ও ক্ষমতার জন্য এতটা বেপরোয়া হতে পারে—সে জাতির উন্নতি অসম্ভব বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালের ফটকে ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহের ওপর চালানো হয় নৃশংস নির্যাতন। লাশের উপর উঠে করা হয় নৃত্য। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় নিহত সোহাগ যুবদলের রাজনীতি করতেন। এ ঘটনায় পুলিশ মহিন নামে একজনকে গ্রেফতার করে। যিনিও যুবদলের রাজনীতি করেন বলে জানা যায়। 

টিডিডি/ এএইচআর