ডাকসু নির্বাচন পেছাতে 'গোপন সমঝোতার' শঙ্কা স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের

প্রকাশিত: ০২ জুন ২০২৫, ১৯:৫৫

Thumbnail
ছবি, সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের 'অন্যায় ও প্রতারণামূলক' আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদ। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গোপন সমঝোতার ভিত্তিতে ডাকসু নির্বাচনকে পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

 

সোমবার (জুন) ডাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটির মিডিয়া সমন্বয়ক তামিম আহসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। 

 

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৩ মে তিন দফা দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে ঈদের ছুটির আগেই ডাকসুর নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো কমিশন গঠন বা নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি ঘোষণা না করে প্রশাসন পূর্বের মতোই কেবল আশ্বাসমূলক বক্তব্য সম্বলিত বিবৃতি দিয়েছে। 

 

নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, গত দশ দিন আগে তারা যা বলেছিলো, কোনো ধরণের অগ্রগতি ছাড়াই আজকেও একই বিবৃতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে তারা স্পষ্টভাবে প্রতারণা করেছে। আমরা এই অন্যায় ও প্রতারণামূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 

বিবৃতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, প্রশাসন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গোপন সমঝোতার ভিত্তিতে ডাকসু নির্বাচনকে পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। ঈদের ছুটির সময়ে যখন অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের অধিকারবঞ্চিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

 

ছাত্রসংসদের মতে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি ছিল অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন। অথচ দীর্ঘ সময় অতিক্রম হওয়ার পরও প্রশাসন সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অধিকার হরণ এবং আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত প্রশাসনের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। 

সংগঠনটি অবিলম্বে ডাকসুর নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্বাচনের নির্ধারিত রোডম্যাপ ও তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। একইসাথে প্রশাসনের প্রতারণামূলক আচরণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানায় সংগঠনটি।