গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে : প্রেস সচিব

প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০:১৬

Thumbnail
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের জন্য আমরা চিঠি লিখছি। জাতিসংঘকে আমরা বলছি, আপনারা বাইরের বিশেষজ্ঞ দেন, তারা তদন্ত করুক- এখানে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে। এই জায়গায় কাজ করার খুব প্রয়োজন, তাহলে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ওপর একটা বিশ্বাস তৈরি হবে। আমরা নতুন করে আবার যাত্রা শুরু করতে পারব। 

শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার ভবনে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা করার কথাও বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, এই সময়ে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন ও অসংখ্য মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে। বিএনপি বারবার বলছে, তাদের নেতা-কর্মীদের নামে ৬০ লাখ মামলা দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। এগুলো নিয়ে আমরা কতটুকু সত্য সাংবাদিকতা করেছি- সেই আলাপ এখন হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, একজন সাংবাদিকের রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে পারে কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- তিনি অপতথ্য দিচ্ছেন কি-না। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বিগত সরকারের আমলে সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। এই নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষা করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

প্রেস সচিব বলেন, গত ১১ মাসে অন্তর্বতী সরকার মুক্ত সংবাদমাধ্যমের জন্য একটা কার্যকর জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করেছে। যাতে সবাই সাংবাদিকতা করতে পারে। ইতোমধ্যে ডিজিটিাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে নতুন অ্যাক্ট করা হয়েছে। কোনো এজেন্সি যাতে গণমাধ্যমকে ভয় দেখাতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গণমাধ্যম স্বাধীন এবং এতে সরকার ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করছে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ কেউ মিথ্যাচার করছে- এ অভিযোগ করে শফিকুল আলম বলেন, সরকারকে জবাবদিহিতা করা সংবাদমাধ্যমের কাজ। আমরাও চাই আমাদের প্রতিটি কাজের সমালোচনা হোক। কিন্তু যিনি মিথ্যা বলছেন, তাকে গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুযোগ দিলে তিনি মিথ্যা তথ্য প্রচারের জায়গা পেয়ে যাচ্ছেন।

তথ্যসূত্র: বাসস

টিডিডি/ এএইচআর