৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি বেড়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৫

Thumbnail
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে দেশে চাঁদাবাজির প্রবণতা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ছাড়া, রাজনৈতিক সরকার ছাড়া চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগে যেখানে এক টাকা চাঁদা নেওয়া হতো, এখন দেড় টাকা, দুই টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর নানা পক্ষ চাঁদাবাজিতে জড়িয়েছে এবং আগে যারা ছিল, তারাও এখনো চাঁদাবাজির পেছনে আছে। যারা চাঁদাবাজি করে, তারাই আবার ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য।

তিনি বলেন, চাঁদাবাজির কারণে পণ্যমূল্য বাড়ছে। কিন্তু এটি থামানো আমার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়। আর অন্তর্বর্তী সরকার ‘একে ধরো, ওকে ধরো’ নীতিতে নেই।

এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমে ৭ শতাংশে নেমে আসবে।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার ব্যাংকিং খাতকে স্থিতিশীল করতে, বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি যৌক্তিকীকরণে এবং রাজস্ব আদায় শক্তিশালী করতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কর্মসূচির আওতায় বাড়তে থাকা বৈদেশিক ঋণের বিষয়েও সরকার সতর্ক রয়েছে।

তিনি জানান, ব্যাংকিং খাত তারল্য সংকট এবং এলসি খোলার জটিলতার মধ্য দিয়ে গেলেও বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। “আমরা এখন তুলনামূলক স্থিতিশীলতা দেখছি। গত বছরের আমদানি ব্যাহতকারী এলসি-সংক্রান্ত বাধাগুলো এখন তেমন নেই। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টিকে থাকতে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, তবে অনিয়মকে উপেক্ষা করা হচ্ছে না,” বলেন তিনি।

জরুরি ভিত্তিতে করজালের বিস্তারের ওপর গুরুত্বারোপ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ইতোমধ্যে ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো’ নামক একটি ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করেছে, যা কাস্টমস ও কর ব্যবস্থাকে আরও সহজতর করছে। প্রথমবারের মতো অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি, যারা এতদিন করের আওতার বাইরে ছিলেন, তাদের কর নোটিশ দেওয়া হচ্ছে।

আইএমএফ ঋণের আরেক কিস্তি পাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “না না, আমরা এ সময়ে (নভেম্বর–ডিসেম্বর) পাবো না। এটা অক্টোবরে রিভিউ হবে। আসতে আসতে মার্চ–এপ্রিল হয়ে যাবে।”

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক পরিবেশ তুলনামূলকভাবে শান্ত রয়েছে। বড় দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহ দেখিয়েছে, যা একটি ইতিবাচক বার্তা। সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।