১০ বছর পর রাজশাহী কলেজে ভর্তি পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রসংগঠনগুলো
প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৫, ০০:৩০

দীর্ঘ এক দশক পর ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে আবারও সরাসরি ভর্তি পরীক্ষায় ফিরেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। রাজশাহী বিভাগের ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী কলেজে পরীক্ষাটি প্রশাসন, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সহযোগিতাতায় সুশৃঙ্খল, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ১৩৭টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী কলেজ কেন্দ্রে মানবিক শাখার ১৫,৮৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। পরীক্ষা শুরুর আগে থেকে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের পরিবেশে ছিল শৃঙ্খলা ও সমন্বয়ের প্রশংসনীয় নজির। কক্ষ বণ্টন, প্রশ্ন বিতরণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ—সব কিছুই ছিল সুপরিকল্পিত।
এছাড়া পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় রাজশাহী কলেজে একাধিক ছাত্রসংগঠন এগিয়ে আসে। কলেজ চত্বরে তারা স্থাপন করে সেবামূলক স্টল, যার মধ্যে ছিল ফ্রি পানি, কলম, বসার জায়গা, তথ্যসেবা ও বাইক সার্ভিস। অংশগ্রহণ করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামি ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রী সংস্থা।
এমন সহায়তা কার্যক্রমের ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মুখে ছিল প্রশংসা। বগুড়া থেকে আসা পরীক্ষার্থী তানভীর হাসান জানান, “কলেজে প্রবেশের পরপরই আমরা বিভিন্ন স্টলে গিয়ে পরীক্ষার হলে যাবার দিকনির্দেশনা পেয়েছি। পানি ও কলমও পেয়েছি। এতে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে গেছে।” চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা মাহমুদা পারভীন বলেন, “স্টেশন থেকে কলেজ পর্যন্ত ছাত্রসংগঠনগুলোর বাইক সার্ভিস খুবই উপকারে এসেছে।”
পাবনার শিক্ষার্থী সাবরিনা হক বলেন, “ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সবাই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে। মনে হয়েছে পরিবারের কেউ সাথে এসেছে। অন্য এক পরীক্ষার্থী জোবায়ের আহমেদ জানান, “প্রশ্নপত্র ছিল সহজপাঠ্য, পরিবেশ ছিল চমৎকার। আশা করছি রাজশাহী কলেজেই ভর্তি হতে পারবো।
নাটোর থেকে আসা অভিভাবক মো. আজিজুল হক বলেন, “ছাত্রসংগঠনগুলোর টেন্টে বসার জায়গা থাকায় আমরা স্বস্তিতে সময় কাটাতে পেরেছি।” সিরাজগঞ্জ থেকে আসা শাহনাজ বেগম বলেন, “আমার মেয়েকে নিয়ে এসেছি। একজন সদস্য আমাদের সহযোগিতা করেছেন। এমন সেবা আগে কোথাও পাইনি।”
বগুড়া থেকে আসা পরীক্ষার্থী তানভীর হাসান জানান, “কলেজে প্রবেশের পরপরই আমরা বিভিন্ন স্টলে গিয়ে পরীক্ষার হলে যাবার দিকনির্দেশনা পেয়েছি। পানি ও কলমও পেয়েছি। এতে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে গেছে।” চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা মাহমুদা পারভীন বলেন, “স্টেশন থেকে কলেজ পর্যন্ত ছাত্রসংগঠনগুলোর বাইক সার্ভিস খুবই উপকারে এসেছে।”
পাবনার শিক্ষার্থী সাবরিনা হক বলেন, “ইসলামী ছাত্রী সংস্থার স্টলে গিয়ে মনে হয়েছে পরিবারের কেউ পাশে আছে। ওরা খুব সহযোগিতাপরায়ণ ছিল।” অন্য এক পরীক্ষার্থী জোবায়ের আহমেদ জানান, “প্রশ্নপত্র ছিল সহজপাঠ্য, পরিবেশ ছিল চমৎকার। আশা করছি রাজশাহী কলেজেই ভর্তি হতে পারবো।”
এই সহযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন অভিভাবকরাও। নাটোর থেকে আসা মো. আজিজুল হক বলেন, “ছাত্রসংগঠনগুলোর টেন্টে বসার জায়গা থাকায় আমরা স্বস্তিতে সময় কাটাতে পেরেছি।” সিরাজগঞ্জ থেকে আসা শাহনাজ বেগম বলেন, “আমার মেয়েকে নিয়ে এসেছি। একজন সদস্য আমাদের সহযোগিতা করেছেন। এমন সেবা আগে কোথাও পাইনি।”
রাজশাহী কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মাসুম বলেন, আমরা পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোকে কর্তব্য মনে করি। তাদের যেকোনো সহযোগিতায় আমরা প্রস্তুত ছিলাম। এটা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ।
রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির জানান, এই ধরনের সময়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি নয়, মানবিক সেবার জায়গা থেকে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা চেষ্টা করেছি, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যেন কোনো ভোগান্তি না হয়।