পিলখানা হত্যাকাণ্ড দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের ফল: তদন্ত কমিশন
প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২৫, ১৫:২৪

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদর দপ্তরে সংঘটিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডকে দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্রের ফল বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন।
আজ (২৫ জুন) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সময় বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ কমিশনের হাতে এসেছে। আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবির নানকের লিখিত জবানবন্দিও ইমেইলের মাধ্যমে কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে।”
কমিশনের ভাষ্য অনুযায়ী, বিদ্রোহ চলাকালে ভেতরে আটকে থাকা সেনা কর্মকর্তারা বারবার সহায়তা চেয়েও সময়মতো কোনো উদ্ধার অভিযান পাননি। সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে বিদ্রোহীরা প্রতিরোধহীনভাবে হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত করতে সক্ষম হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে—গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর গাফিলতি, কিছু গণমাধ্যমের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা এবং আলামত নষ্টের চেষ্টার বিষয়গুলো। পাশাপাশি, হত্যাকাণ্ডে বিদেশি সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেছে কমিশন, যা এখনো যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় রয়েছে।
প্রতিবেদনের পূর্ণাঙ্গ চূড়ান্তকরণের জন্য কমিশন ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করেছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সাম্প্রতিক তিন দফা দাবিতে আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশন জানায়, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। তবে যেহেতু এটি বিচারাধীন, তাই তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি নয়।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং কোনো পক্ষের চাপ বা প্রভাব ছাড়াই সত্য উদঘাটনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।