
বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ৬৫ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। রবিবার (২০ জুলাই) এ সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, বিজ্ঞপ্তি ছাড়া ৬৫ চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিভিন্ন মহলে সমালোচনা তৈরি হয়। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠায় হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের সভায় তাদের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি জানান, দ্রুত সরকারি বিধি ও নীতিমালা মেনে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
গত ৫ জুলাই দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পরীক্ষা ছাড়াই গোপনে নিয়োগ ৬৫ চিকিৎসক’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বিষয়টি সামনে আসে। এরপর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ১৪ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম জানান, কীভাবে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে এবং তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুতে কোনো লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৬৫ জন চিকিৎসককে অভ্যন্তরীণভাবে নিয়োগ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে চিকিৎসক সমাজে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মাহবুবুল আলম এবং নিয়োগ কমিটির প্রধান ডা. এ কে এম আজিজুল হক গোপনে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই নিয়োগের জন্য হাসপাতালের ওয়েবসাইট বা জাতীয় পত্রিকায় কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালেও একইভাবে ৬৬ চিকিৎসককে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে পরবর্তীতে পরীক্ষা ছাড়াই তাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়েছিল। যদিও সেই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। বিতর্ক এড়াতে এবার সেই ৬৫ জনের নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলো কর্তৃপক্ষ।
টিডিডি/ এএইচআর