ঢাবি ছাত্রীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ভোট চাওয়া সেই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:৩২

Thumbnail
বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ আলী সুজন

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ভোট চাওয়ার ভিডিও ভাইরাল পর এবার সেই ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা খুলনার রুপসা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আলী সুজন।

আজ শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, কোনরূপ সাংগঠনিক নির্দেশনা না থাকা সত্ত্বেও আসন্ন ডাকসু নির্বাচনের ভোটারদের কাছে অযাচিতভাবে ভোট চেয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে খুলনা জেলা শাখার অধীনস্থ পূর্ব রুপসা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আলী সুজনকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

এর আগে, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ইমতিয়াজ আলী সুজন নামের এক ব্যক্তি নিজেকে খুলনার রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন। ভিডিওতে তাকে দেখা যায়, মুঠোফোনে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিশ্চিত হন তিনি ‘চৈতি’ কি না। 

তারপর বলেন, ‘আমি ইমতিয়াজ আলী সুজন, খুলনার রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি। আমি আপনাদের বাসায় গিয়েছিলাম। আপনার আম্মু ম্যাডামের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা গিয়েছিলাম মূলত ডাকসু ইলেকশন উপলক্ষে। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমাদের একটি প্যানেল আছে—আবিদ, হামিম এবং মায়েদ পরিষদ। আমরা এই পরিষদের পক্ষ থেকেই গিয়েছি এবং আপনাদের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই প্যানেলের জিএস প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল ভাইপো, যিনি খুলনার ছেলে, রূপসার সন্তান। হয়তো আপনি জানেন।’

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ পায়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে প্রার্থীদের এমন ঘরভিত্তিক প্রচারণা আদৌ কতটা গ্রহণযোগ্য বা বৈধ। কেউ কেউ এটিকে নির্বাচনী প্রচারণার নামে ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ হিসেবেও দেখছেন।