বৃক্ষরোপণকে ইবাদত হিসেবে দেখি : শাবিপ্রবি অধ্যাপক আবুল হাসনাত
প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫১

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত। গবেষণাই যার ধ্যানজ্ঞান। তবে, পরিবেশ, গাছপালা ও জীববৈচিত্র্যের প্রতি তার আলাদা টান রয়েছে। শাবিপ্রবি'র ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত ক্যাম্পাসের পরিবেশ উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গার অনেক পরিত্যক্ত স্থানে নতুনত্ব এনেছেন। তার উদ্যোগে ইতোমধ্যে নানা ধরনের ফল ও ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। আবার অনেক কাজ করতে গিয়ে হয়েছেন সমালোচিতও। এসকল বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন দ্যা ঢাকা ডায়েরির সাথে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শাবিপ্রবি প্রতিনিধি মো. সাগর মিয়া।
দ্যা ঢাকা ডায়েরি : এই দায়িত্বটি গ্রহণ করার পেছনে আপনার মূল ভাবনা কী ছিল?
অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত : আমি মূলত একজন গবেষক। আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে আমার অসংখ্য গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে এবং আমার বহু শিক্ষার্থী দেশে-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। মালয়েশিয়া, জাপান, কোরিয়া এবং আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনে চাকরি করার সুযোগ থাকলেও দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার কারণে আমি দেশের বাইরে স্থায়ী হইনি। শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের প্রতি আমার রয়েছে এক বিশেষ টান। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণ বয়ে আনবে এমন কিছু দৃশ্যমান কাজ করতে চেয়েছি।
গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজের প্রস্তাব আমি পেয়েছিলাম। তবে, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং সৌন্দর্যবর্ধন নিয়ে কাজ করার প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ থাকায় আমি এই দায়িত্বটি বেছে নিয়েছি। ২০১০ সাল থেকে আমি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ফল, ফুল এবং অন্যান্য ধরনের গাছ লাগিয়ে আসছি। বৃক্ষরোপণকে আমি একটি ইবাদত হিসেবে দেখি।
দ্যা ঢাকা ডায়েরি : দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত আপনি কী কী উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন?
অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত : প্রথমত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পূর্ব এবং পশ্চিম পাশ খুবই নোংরা ছিল। পাশের এলাকার সুয়ারেজ লাইন আমাদের ক্যাম্পাস দিয়ে প্রবাহিত হয়। সেই বিষয়টির সামাধানের জন্য সিটি কর্পোরেশনে যোগাযোগ করেছি। তারা দ্রুতই এটি অন্যদিকে লাইন করে দেবে বলে জানিয়েছে। সেখানে মাটি ফেলে জায়গাটা সুন্দর করেছি। অনেকগুলো ফুল গাছ রোপণ করেছি। এখন দেখতে অনেকটা সুন্দর লাগে।
বি বিল্ডিংয়ের সামনের জায়গাটা অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সেখানে মাটি ও বালি পাথর দিয়ে শিক্ষার্থীদের বসার জন্য চারটি স্থান তৈরি করেছি। যেখানে একসাথে কমপক্ষে ৩০ জন শিক্ষার্থী বসতে পারবে। গাছের ছায়ায় বসে তারা পড়ালেখা, আড্ডা ও গবেষণার জন্য চিন্তাভাবনা করতে পারবে। এই কাজগুলো করতে যে টাকার প্রয়োজন ছিল তার বড় একটি অংশ আমার গবেষণার স্টুডেন্টদের কাছ থেকে নিয়েছি যারা দেশে-বিদেশে ভালো অবস্থানে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগটির খুব প্রশংসা করেছে। এর পাশেই গাছের ডাল দিয়ে একটি ছোট ব্রিজ তৈরি করে দিয়েছি। ব্রিজের দিক থেকে আসা যাওয়া করতে অনেকগুলো ব্লক দিয়ে দিয়েছি। দেখতেও অনেক ভালো লাগে। দেশের বাইরে আমার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দেখার সুযোগ হয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা গাছের নিচে বসে পড়ালেখা, ক্লাস, আড্ডা দেয়া -- এসব করে । আমি মনে করি আনন্দ নিয়ে কিছু করলে তা ফলপ্রসূ হয়।
দ্যা ঢাকা ডায়েরি : এখন পর্যন্ত কি পরিমাণ বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে?
অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত : আসলে বৃক্ষ রোপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে কোন বাজেট নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সামান্য একটা বাজেট থাকে। সেই জায়গা থেকে কিছু টাকা সেইভ করে কিছু বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। এছাড়া বৃক্ষরোপণ করতে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, পুবালি ব্যাংক ও সিটি কর্পোরেশন আমাদের সাহায্য করেছে।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের দেওয়া গাছগুলোর মধ্যে ‘বি’ বিল্ডিংয়ের সামনের শেওড়া গাছ, শাহপরান হলের টিলা পরিষ্কার করে ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। এগুলো এখনই দৃশ্যমান হবে না। কমপক্ষে দুই তিন বছর সময় লাগবে।
এছাড়া আস-সুন্নাহ ৭০০ গাছ দিয়েছে। সিটি কর্পোরেশন তিন ধাপে প্রায় ৫০০ গাছ দিয়েছে। সেগুলো অস্ট্রেলিয়া টিলা এন্ড রুদ্র সেন লেকের চারপাশে আমরা রোপণ করেছি। বর্তমানে বৃক্ষ রোপণের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট সেটা আমাদের দিচ্ছে পুবালি ব্যাংক। প্রায় দুই হাজার গাছ। বর্তমানে গোল চত্বরে সেগুলো রোপণের কাজ চলছে। প্রধান ফটকের আগের যে গাছ ছিল। সেগুলো পরিকল্পনা মাফিক না হওয়ায় জঙ্গল তৈরি হয়েছে। এগুলো পরিষ্কার করে নতুন করে পুবালি ব্যাংকের দেওয়া নতুন গাছ রোপণ করছি। নিউজিল্যান্ড টিলার যে জায়গাগুলোতে গত শীতে আগুন লেগে গাছ নষ্ট হয়েছে সেগুলো পরিষ্কার করে গাছ লাগানো হবে।
আমরা মূলত এখন ফলের গাছের উপর জোর দিচ্ছি। কারণ পাখির অবয়ারণ্যের জন্য ও শিক্ষার্থীদের পুষ্টির জন্য ফলের গাছের বিকল্প নেই। তাই আমরা আম, জাম, কাঁঠাল, লেবু, তেঁতুল, আমলকী, তেজপাতা, ডেউয়া ও কাউ ফলের গাছ লাগাচ্ছি। যে গাছগুলো বর্তমানে বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে সেগুলো একটু বেশি রোপণ করার চেষ্টা থাকবে।
আর শাহপরান হল মসজিদের সামনে সুনামগঞ্জের শিমুল বাগানের মতো করে শিমুল বাগান নির্মাণের লক্ষ্যে সারিসারি করে অনেকগুলো শিমুল গাছ রোপণ করেছি। যদি এই গাছগুলো বড় হয় দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে।
দ্যা ঢাকা ডায়েরি : বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলা সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কোন পরিকল্পনা আছে?
অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত : এটা একটা বড় পরিকল্পনা। এটা জরুরি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ চলছে। এখন সম্ভব না। আর সবগুলা আমার এই দায়িত্বে থেকে করা সম্ভবও নয়। তবে আমি সংশ্লীষ্টদের কাছে প্রস্তাব দেবো।
যদি আমি সম্প্রতি তৈরি করা রুদ্র সেন লেকের কথাই বলি। এটার পানি খুবই নোংরা। কারণ নয়াবাজার এলাকা ও এর আশপাশের সকল ময়লা বাস রাখার গ্যারেজের খাল দিয়ে লেকে এসে প্রবেশ করে। পানি পরিষ্কার করতে প্রথমেই আমাদের সব লেকগুলোকে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। এদের মধ্যে যে গ্যাস জমা হয়েছে তা বের করতে হবে। নয়তো ভালো পানি প্রবাহিত হবে না।
এছাড়া লেকের পানি ভালো রাখতে উপরের এলাকার যত ময়লা সব এসে উপাচার্যের বাসভবনের পাশের জমি দিয়ে আসে। সেখানে যদি একটা পুকুর খনন করা যায় তাহলে ময়লাগুলো নিচে জমা হবে। আর মোটামুটি ফ্রেশ পানি প্রবাহিত হবে। তবে এটা স্থায়ী সমাধান হবে না।
শাহজালাল স্কুলের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলো স্থাপনা হচ্ছে। এখানে আগামীতে স্থাপনার প্রতিবন্ধকতার কারণে যে সমস্যাগুলো হবে তা হলো জলাবদ্ধতা। তাই স্কুলের এখান থেকে শুরু করে টিলার গাও পর্যন্ত একটা খাল খনন করতে হবে। আর এই খাল যদি কিলো রোডের নীচ কালভার্ট দিয়ে কানেক্ট করে দেয় তাহলে পানি আর গ্যারেজের পাশ দিয়ে লেকে প্রবাহিত হবে না। তখন এর স্থায়ী সমাধান আসতে পারে। এতে লেকগুলো দূষণমুক্ত হবে।
দ্যা ঢাকা ডায়েরি : সম্প্রতি প্রায় শতাধিক আকাশমণি গাছ কাটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে আপনার ব্যাখ্যা জানতে চাই।
অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত : উপাচার্য স্যার একবার আমাকে বলেছিলেন, "জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শহরের কাছে, সেখানে প্রচুর মানুষ ও কোলাহল সত্ত্বেও এত পাখি, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় এত সবুজ ও পাহাড়ি এলাকা হওয়া সত্ত্বেও পাখি নেই কেন? এর কারণ খুঁজে বের করো।"
আমি অনেক অনুসন্ধান করে দেখেছি, আমাদের ক্যাম্পাসে পাখির খাবারের অভাব রয়েছে। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, আমাদের ক্যাম্পাসের আশেপাশের টিলাগুলো থেকে পাখির ডাক আসে না, কোনো পোকামাকড় বা সাপও দেখা যায় না। এটি অনেকটা মরুভূমির মতো। এর অন্যতম কারণ হলো আকাশমণি গাছ। এই গাছের পাতা অত্যন্ত বিষাক্ত। এর পাতা পেস্ট করে ঘরে ব্যবহার করলে ছাড় পোকা থাকে না। এই পাতার রেণু হাঁপানি রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং একই কারণে এটি পাখি ও পোকামাকড়ের জন্যও ক্ষতিকর। তাছাড়া, সরকার এই বছরের ১ মে থেকে এই গাছের চারা উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। গত শীতে এই গাছের পাতার কারণে টিলায় প্রায় দশবার আগুন লেগে অনেক গাছপালা নষ্ট হয়েছে।
এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কমিটি করে দিয়েছিল। সেই কমিটির সুপারিশেই আকাশমনি গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সাথে সাথে আমরা ফলের গাছ দিয়ে সেগুলো রিপ্লেস করছি।
দ্যা ঢাকা ডায়েরি : এখানে কাজ করতে গিয়ে কি কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন?
অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত : আসলে এই ক্ষেত্রটি অনেক অবহেলিত। অফিস নেই, পর্যাপ্ত জনবল নেই। যে কয়জন আছে তাদের মধ্যে ডেডিকেশন কম। অনেকেই বয়স্ক। তেমন ক্যালিবার নিয়ে কাজ করতে পারে না। অনেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাকে কাজের জন্য বলেন। কিন্তু লোকবল না থাকায় সময়মতো সকল কাজ করা সম্ভব হয় না। অনেক সময় ডে-লেভার দিয়ে কাজ করাতে হয়। মোটামুটি ১০-১৫ জন জনবল থাকলেই এই জায়গায় থেকে পুরো ক্যাম্পাস সবসময় পরিষ্কার রাখা সম্ভব।
দ্যা ঢাকা ডায়েরি : আপনার মেয়াদকালে কোন কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চান?
অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত : আমার অনেক স্বপ্ন আছে, তবে সবকিছু আমার বিভাগের আওতায় পড়ে না। এর বেশিরভাগ কাজ প্রকৌশল বিভাগের। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে আমরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণের জন্য কাজ করছি। পুবালি ব্যাংক সেটার অর্থায়ন করবে। আমরা তাদের সাথে সাইট ভিজিট করেছি এবং প্রস্তাব দিয়েছি যে ছাউনির পাশে যেন তারা একটি এটিএম বুথ স্থাপন করে। এতে তাদেরও প্রচার হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এটা ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া, গেটের পশ্চিম দিকের খালি জায়গায় ছোট করে একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনাও আছে। প্রয়োজনে আমি ব্যক্তিগতভাবেও এতে অর্থায়ন করব।
বাস্কেটবল খেলার মাঠ থেকে সরাসরি অডিটোরিয়ামে যাওয়ার পথে একটি কাঠের সেতু তৈরি করার চিন্তা করছি। এতে তেমন বেশি খরচ হবে না, চাইলে ক্যাম্পাসের অব্যবহৃত গাছের ঢাল এসব কাজে লাগানো যেতে পারে। এটি করলে একটা ন্যাচারাল বিউটি তৈরি হবে।
ছাত্রী হল থেকে শহিদ মিনার পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার করা খুবই জরুরি। তাদের অনেক পথ হেঁটে শহিদ মিনারে আসতে হয়। সেদিকের পরিবেশও সুন্দর। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রুদ্রসেন লেকের চারপাশে একটি ওয়াকওয়ে তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এটি হলে এর চারপাশে গাছের হেজ তৈরি করে এর সৌন্দর্য আরও বাড়ানোরও পরিকল্পনা রয়েছে আমার।
এছাড়া প্রথম ছাত্রী হলের মাঠ সংস্কারের জন্য আমি প্রকৌশল দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলব। মাঠটা ভাল থাকলে তারা নিয়মিত শরীর চর্চা করতে পারবে। প্রয়োজনে ইউসি বিল্ডিংয়ের পাশের জমি থেকে মাটি নিয়ে সেটি করতে পারে। এতে এখানে একটা লেক তৈরি হলে সুন্দর ও স্বচ্ছ জলের একটা লেক পাবো আমরা। কারণ এদিক দিয়ে ময়লা পানি প্রবাহিত হয় না।
দ্যা ঢাকা ডায়েরি : অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত : দ্যা ঢাকা ডায়েরি এবং আপনাকে ধন্যবাদ।