সাদা পাথর লুটপাটে নাম আসায় প্রতিবাদ জানালো বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি
প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৫, ০০:৩৮

সিলেটের আলোচিত সাদা পাথর লুটপাট নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরাতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েকজন নেতার নাম উঠে আসার পর এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
এর ধারাবাহিকতায় টানা দুই দিনে তিনটি দল আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নাম জড়ানো হয়েছে, যা মূল লুটেরাদের আড়াল করার ষড়যন্ত্র।
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাদা পাথর লুটের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের সম্পৃক্ততা দেখানোর চেষ্টা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। আমরা এ ধরনের মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অন্যদিকে, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, একটি জাতীয় দৈনিকে ফরমায়েশি রিপোর্টে জামায়াত নেতাদের নাম জড়ানোর ঘটনায় আমরা বিস্মিত ও হতবাক। এটি পাথর চুরিতে জড়িত প্রকৃত আসামিদের আড়ালের অপচেষ্টা ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি দাবি করেন, দুদকের রিপোর্টে জামায়াত নেতাদের নাম থাকার কোনো প্রমাণ কোনো গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি, শুধু একটি পত্রিকাই এমন বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে।
ফখরুল আরও বলেন, জামায়াতের কোনো নেতা-কর্মীরও পাথর লুটের সঙ্গে দূরতম সম্পর্ক নেই। এই ধরনের ভুয়া সংবাদের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দুদক যদি সত্যিই এমন রিপোর্ট দিয়ে থাকে তবে প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে, অন্যথায় দুদক ও সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে ক্ষমা চাইতে হবে।
একইভাবে এনসিপির জেলা প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন সাহান লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উপস্থাপন ছাড়াই আমাদের নেতাদের নাম জড়ানো হয়েছে। এটি একপাক্ষিক, তথ্যবিচ্যুত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম, পাথর লুটের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সংবাদ প্রচারের আগে সত্য যাচাই ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। এনসিপি নেতারা আরও বলেন, অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে দুদক ও গণমাধ্যমকে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে, অন্যথায় তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।
এইচটি।