থানায় আসামি ছাড়িয়ে নিতে বিএনপি-গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হাতাহাতি

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২৫, ২৩:২৬

Thumbnail
ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ে আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে থানায়  বিএনপি-গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জেলার রাণীশংকৈল থানায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে রাণীশংকৈল ও হরিপুর থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের সাতজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে হরিপুর উপজেলার চৌরঙ্গী এলাকার শিহিপুর গ্রামের বদিউর জামানের ছেলে রুহুল আমিনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। বিনা অপরাধে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও রাণীশংকৈল উপজেলার সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মী তার মুক্তির দাবিতে থানায় অবস্থান নেন। একপর্যায়ে মামুনুর রশিদ মামুন ও জাফর আলীর সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় রাণীশংকৈল উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহাদাত আলীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা থানায় এলে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আসামিদের ঠাকুরগাঁও আদালতে পাঠিয়ে দেন তিনি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাণীশংকৈল উপজেলার খঞ্জনা গ্রামের মৃত খেজমত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৩৪), নেকমরদ এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে দবিরুল ইসলাম (৬৫), একই এলাকার দবিরুলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫), হরিপুর উপজেলার শাহারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে আব্দুল্লা আল কাফি (৪৭), শিহিপুর গ্রামের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে রুহুল আমিন (৪৪), বড়ুয়াল গ্রামের রফিকুলের ছেলে নাঈম ইসলাম (২৬) ও আমগাঁও গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে তহিদুল (২৫)।

গণঅধিকার পরিষদের নেতা মামুনুর রশিদ জানান, পুলিশ রুহুল আমিন নামে একজন কৃষককে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি নির্দোষ, কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নাই। তারপরেও তাকে পুলিশ রাতে গ্রেপ্তার করে এনেছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

তিনি আরও বলেন, রাণীশংকৈল থানা এখনো সেই ফ্যাসিস্টদের মতোই চলছে একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায়। আমি নিজেই থানায় গিয়ে হেনস্তার শিকার হয়েছি।

তবে এ বিষয়ে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক বলেন, গত রাতে অভিযান চালিয়ে রাজনৈতিক মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিতে আসেন গণঅধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতাকর্মী। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা থানায় এলে একটু হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে বিকেলে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এইচটি।