ছাত্রদল নেতাকর্মীদের 'আগে সাংবাদিক মার' স্লোগান ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ : ডুজা
প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৫, ০১:৪১

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)। হেন্সতার ঘটিনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানায় সংগঠনটি।
শনিবার (৩১ মে) ডুজা সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি ও সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এ স্তম্ভের উপর বারবার আঘাত এনে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা গণতন্ত্রবিরোধী এবং স্বেচ্ছাচারী চেহারা প্রকাশ করছে। অপেশাদারিত্ব ও কাপুরুষতায় ভরা এ ধরনের হামলা চরম উদ্বেগজনক এবং তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।”
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, “গত বুধবার (২৮ মে) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রদল নেতাকর্মীদের গায়ে হাত তোলা, ধাক্কাধাক্কি করা এবং মোবাইল ফোন ছুড়ে ফেলা বর্বরতার আরেকটি উদাহরণ। বিশেষ করে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ এবং তার অনুসারীদের নেতৃত্বে সংঘটিত এই হামলা পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
ডুজা নেতৃবৃন্দ বলেন, “ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপর ‘আগে সাংবাদিক মার’ স্লোগান দিয়ে হামলা চালানো কেবল সাংবাদিকতা নয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপরেও সরাসরি আঘাত। এ ধরনের হামলা গণমাধ্যমের মুখ চেপে ধরার চেষ্টার নামান্তর, যা চরম প্রতিক্রিয়াশীল ও ফ্যাসিবাদী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।”
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সরকারী তিতুমীর কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও কুমিল্লায় ছাত্রদলের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের উপর হামলার একের পর এক অভিযোগ দেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা ত্বরান্বিত করার পথে অন্যতম বাঁধা। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বারবার গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা করছে, অথচ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে ডুজা নেতৃবৃন্দ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।