ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো হুথি বিদ্রোহীরা
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০২

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা মধ্য ইসরায়েল ও দক্ষিণ পশ্চিম তীর লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হুথিদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে। টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলার সময় মধ্য ইসরায়েল ও পশ্চিম তীরের কিছু এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে হুথি বিদ্রোহীরা প্রায়ই ইসরায়েল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর পাল্টায় ইসরায়েলও ইয়েমেনে বিমান হামলা করে।
এদিকে, গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলা চলছে। রোববার দিনভর চালানো হামলায় বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এসব হামলায় ধ্বংস হয়েছে আবাসিক ভবন, স্কুল এবং হাসপাতাল। আহতদের কাছে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পৌঁছানোও সম্ভব হচ্ছে না।
গাজায় মানবিক পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (UNRWA) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি জানিয়েছেন, “স্কুলগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মানুষ ধ্বংসস্তূপে বসবাস করছে। খাবার ও পানীয় জল সংগ্রহ করাই এখন তাদের প্রধান উদ্বেগ।”
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল বাররো এক বক্তব্যে বলেন, “ইসরায়েলের বর্তমান নীতি শুধু গাজার জন্য নয়, তাদের নিজস্ব নাগরিক ও বন্দিদের জন্যও বিপজ্জনক।” তিনি গাজায় মানবিক অবরোধ, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান।
এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজারেরও বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ বাসিন্দা। পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।