মাদক পাচার ও অপব্যবহারে হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২৫, ১৫:০৭
মাদকের অবৈধ পাচার ও অপব্যবহার দেশের জনস্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনীতির জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এবারের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘প্রমাণ স্পষ্ট: প্রতিরোধে বিনিয়োগ করুন। চক্র ভেঙে ফেলুন। সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন করুন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনের কারণে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কর্মক্ষম, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ও প্রযুক্তিনির্ভর যুবসমাজই উন্নয়নের চালিকাশক্তি। মাদক থেকে এই যুবসমাজকে মুক্ত না রাখতে পারলে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মাদকের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো নারী, শিশু ও কিশোরদের মাদক চোরাচালানে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে এবং অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।”
বর্তমানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে মাত্র ২ হাজার ৯৪৩ জন জনবল রয়েছে, যার মধ্যে এনফোর্সমেন্টে নিয়োজিত আছেন ১ হাজার ৬২২ জন। এ সংখ্যা ১৮ কোটি জনসংখ্যার তুলনায় খুবই অপ্রতুল উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যানবাহন, প্রযুক্তি ও উপকরণের অভাবও কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। এসব সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, মাদকাসক্তদের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে পৃথক কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাত বিভাগীয় শহরে সাতটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প ইতিমধ্যে একনেক অনুমোদন দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। সভাপতিত্ব করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফ।