ঢাবির রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে চলছে শাহবাগ থানা বিএনপির দলীয় কার্যক্রম

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৯:৪২

Thumbnail
ছবি: প্রধিনিধি

শাহবাগ থানা বিএনপির সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে।

গত ২১ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত একাধিক ছবিতে দেখা যায়, শাহবাগ থানা বিএনপির ব্যানারে "নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন কার্যক্রম ২০২৫", বেলা ১২টা থেকে ১টা অবধি চলমান থাকে। অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বিল্ডিং এর তৃতীয় তলায় অবস্থিত ক্যাম্পাসের এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশে ক্যাম্পাসের বাইরের একটি রাজনৈতিক শাখার কার্যক্রম চলাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশীজনের মাঝে।

নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রচারনায় অংশ নিতে দেখা গেছে,সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ মনিরুল ইসলাম, বিল শাখা কর্মরত মোঃ মোন্তাজ আলী, সহকারী লাইব্রেরিয়ান উত্তম কুমার সরকার, হিসাব পরিচালকের দফতরের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মো. সফিউল্ল্যাহ, সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মো: রফিকুল ইসলাম, সায়েন্স লাইব্রেরীর কর্মচারী মনিরুজ্জামান মনির, ভিসি অফিসে কর্মরত সহকারী রেজিস্ট্রার মো: মনিরুজ্জামানকে।

বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন,  আসলে বাংলামোটর থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ফরম দেয়া হচ্ছে, কিন্তু আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা জাতীয়তাবাদী বিএনপির সমর্থক আছেন, তাদের জন্য এই জায়গায় ফরম ছাড়া হচ্ছিল। যারা ফরম নিচ্ছেন তারা সত্যিকার অর্থেই বিএনপির সমর্থক কিনা সেটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লাঞ্চ টাইমে এই ফরম বিতরণ করা হয়। আর ব্যানার শাহবাগ থানার হওয়ার কারণ হচ্ছেএই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটা শাহবাগ থানার অন্তর্ভুক্ত। এজন্য পেছনে ২১ নম্বর ওয়ার্ড, শাহবাগ থানা বিএনপির ব্যানারটি রাখা হয়েছে।“

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার সদস্য সচিব মহির আলম বলেন, “সরাসরি রাজনৈতিক দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তারা সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেছে। অফিস টাইমে রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তারা কান্ডজ্ঞানহীন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে এবং চাকরিতে বহাল থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে। তাদের উচিত চাকরি ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।”

বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, "আমি বিষয়টি মাত্রই জানলাম। আমি ব্যাপারে রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলবো, যে এরকম কোনো বিশেষ অনুমতি দেয়া হয়েছে কিনা এবং তারা এখানে ধরনের কার্যক্রম চালাতে পারে কিনা। ভবিষ্যতেও বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।"

 

টিডিডি/এসআর