
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মামুন নামে এক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছে। এদিকে এলাকাবাসী ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকালে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মামুন রূপঞ্জের ভুলতা মাঝিপাড়া এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি (ইন্টেলিজেন্স) সালাউদ্দিন কাদের বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাব্বির হোসেন খোকা। গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় প্রবেশ করে নানা অপকর্ম করার চেষ্টা করছিল সে। মঙ্গলবার বিকালে ভুলতা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদলের লোকজনসহ স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে আটক করে।
তিনি আরও বলেন, খোকাকে আটকের খবর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবের ভাতিজা চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাইদুল ইসলাম বাবু জানতে পেরে তাকে ছাড়িয়ে নিতে পিস্তল দিয়ে গুলি বর্ষণ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী মামুন। এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় বাবু। উত্তেজিত এলাকাবাসী ছাত্রলীগ নেতা খোকাকে গণধোলাই দিয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ব্যবসায়ী মামুনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রাতে নিহতের বড় ভাই বাদল বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
বুধবার(১১ জুন) নিহতের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,মার স্বামী কোনো রাজনীতি করে না। আমার স্বামী গেছে গ্যাসের সলিন্ডার আনতে। তিনি মুদি দোকান করে। আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।”